সময়ের হিসাবে প্রায় এক দশক। সেই ২০১১ সাল থেকে আছেন অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের কোচ হিসাবে। কিন্তু স্প্যানিশ লা লিগায় জায়ান্ট বার্সেলোনার বিরুদ্ধে জয় ছিল অধরা। দীর্ঘ নয় বছর কখনো ড্র, কখনো হারের বৃত্তে আটকা ছিল তার দল অ্যাথলেটিকো। অবশেষে সেই খরা কাটল। বার্সার বিরুদ্ধে সুখকর জয়ের স্বাদ পেল অ্যাথলেটিকো, সাথে কোচ সিমিওনেও।
শনিবার রাতে বার্সাকে ঘরের মাঠে ১-০ গোলে পরাজিত করেছে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ। রোমাঞ্চকর জয়ের নায়ক ইয়ানিক ক্যারাসকো। বার্সা গোলরক্ষকের ভুলে দারুণ গোল তুলে নেন তিনি।
সব দিক থেকেই এগিয়ে ছিল বার্সা। শুধু গোলের দেখাই মেলেনি দলটির। অন্যদিকে প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগিয়ে শেষ হাসি হাসে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ।
তৃতীয় মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় বার্সা। উসমান দেম্বেলের ক্রসে গ্রিজমানের শট একটুর জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। দুই মিনিট পর অবশ্য অ্যাথলেটিকোর আক্রমণ। সাউল নিগেসের বুলেট গতির দূরপাল্লার শট ঝাঁপিয়ে রক্ষা করেন বার্সা গোলরক্ষক।
১২ মিনিটে অ্যাথলেটিকোর মার্কোসের শট ক্রসবার ছুয়ে চলে যায় বাইরে। এর মিনিট পাঁচেক পর দুটি গোলের সুযোগ নষ্ট করেন বার্সার গ্রিজম্যান ও রবার্তো।
৪১ মিনিটে গোলের দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন বার্সা অধিনায়ক মেসি। জর্ডি আলবার চোখ ধাঁধাঁনোা পাসে শট নিয়েছিলেন মেসি, কিন্তু তা বা দিকে ঝাঁপিয়ে রক্ষা করেন অ্যাথলেটিকো গোলরক্ষক।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে টের স্টেগানের মারাত্মক ভুলে এগিয়ে যায় আথলেটিকো। পিকের ভুলে হারানো বল ঠেকাতে প্রায় মাঝমাঠে উঠে আসেন বার্সা গোলরক্ষক। তাকে এড়িয়ে বেশ দূরে থেকে ইয়ানিক ক্যারাসকোর দারুণ শট, বল জড়ায় জালে।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ হয়েছে বেশ। গোলের সুযোগ বার্সাই বেশি পেয়েছিল এই অর্ধেই। কিন্তু কাঙিক্ষত গোলের দেখা পায়নি দলটি। হারের তেতো স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়ে কাতালান শিবির।
৫৫ ভাগ বল পজিশন ছিল বার্সার। ১৩টি শটের চারটিই ছিল তাদের লক্ষ্যে। সেখানে নয় শটের অ্যাথলেটিকোর দুটি ছিল লক্ষ্যে। দুই দলই পায় সমান আটটি কর্নার।
মনে রাখার মতো জয়ে আট ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে উঠে এসেছে অ্যাথলেটিকো। এক ম্যাচ বেশি খেলে শীর্ষে থাকা রিয়াল সোসিয়েদাদেরও পয়েন্ট ২০। চলমান লিগে তৃতীয় হারের দেখা পাওয়া বার্সেলোনা আট ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে আছে ১০ নম্বরে।
Leave a Reply